বহু সংস্কৃতিক পারিবারিক কেন্দ্র থেকে কোরিয়ান ভাষার বাংলায় অনুবাদ করার জন্য কোরিয়ান ভাষা যে ভাল বলতে পারে না, তার জন্য অনুবাদ করার সাহায্য করে থাকে। এই ছাড়া কোরিয়াতে প্রথমে প্রবেশ, আলোচনা, সরকারী অফিসে গিয়ে বিভিন্ন ধরনে সাহায্য নিতে পারে।
ভিয়েতনামি ☎+82-32-320-6397, চিনা ☎+82-32-320-6396 (Bucheon মাল্টিকালচারাল ফ্যামিলি সাপোর্ট সেণ্টার )
প্রতিষ্ঠান | ফোন | ভাষা |
---|---|---|
Danuri কল সেণ্টার | ☎1577-5432 | ইংরেজি এবং ভিয়েতনামি সহ 8 টি ভাষা |
অভিবাসী মহিলাদের জন্য সংকটকালীন সহায়তা কেন্দ্র | ☎1577-1366 | ইংরেজি এবং ভিয়েতনামি সহ 8টি ভাষা |
BBB কোরিয়া | ☎1588-5644 | ইংরেজিসহ 10টি ভাষা |
অভিবাসীদের অনুবাদ পরিষেবা কেন্দ্র | ☎1644-7111 | ইংরেজিসহ 10টি ভাষা |
বিদেশীদের তথ্যকেন্দ্র | ☎1345 | ইংরেজি এবং ভিয়েতনামি সহ 17টি ভাষা |
ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় মারামারি হতে পারে। বিশেষ ভাবে একজন রাগ করেনি কিন্তু খারাপ কথা বলার অভ্যস হয়ে থাকে। খারাপ কথা শুনলে সবাই রেগে যায়, এই সময় ঝগড়া না করে এই খারাপ কথা না বলার জন্য অনুরোধ কারা উচিত। যদি মারধর করার সম্ভবনা হয় তাহলে ঐ জায়গা ত্যাগ করা ভাল। এই সমস্যা সব সময় হলে মালিকের কাছে জানাতে হবে, কিন্তু সমাধান না হলে, আলোচনা সেন্টারে গিয়ে পরামর্শ নিতে হব ।
বুউছোনসী চাকুরী প্রদান কেন্দ্র এবং জব সেন্টার : ☎031-323-9825
প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় অফিস
প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় ক্যল স্টোর | ☎1350, ☎1544-1350 | সাং নাম | ☎031-788-1505 |
---|---|---|---|
সু-উওন | ☎031-259-0203 | আন্ ইাং | ☎031-436-7303 |
আন সান | ☎031-412-6952 | ইউ জংবু | ☎031-877-0009 |
কোরিয়া শ্রমিক ক্ষতিপূরণ সেবা সংগঠন
গিইাংগিডো সুউ উওন | ☎031-231-4299 | আন্ ইউং | ☎031-463-0599 |
---|---|---|---|
আন সান | ☎031-481-4105 | ইউং জিংবু | ☎031-828-3040 |
সিউং নাম | ☎031-720-1600 | ফিউং টেক্ | ☎031-720-1600 |
কর্ম দূর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ বীমার পদ্ধতিটা শ্রমিকদের কে চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম আছে, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কর্ম দূর্ঘটনার প্রকার ভিত্তিতে আবেদন করতে হবে। সময় ও অনেক দিন লাগতে পারে। কর্ম দূর্ঘটনা বীমার অফিসে বিভিন্ন কাগজ-পত্র জমা দিতে হবে। তাছাড়া কোম্পানী এবং হাসপাতাল থেকে কথা বলেছে, কিন্তু বুঝতে অসুবিধা হলে কর্ম দূর্ঘটনার কল সেন্টারে যোগাযোগ করলে ভাল হয়।
কর্ম দূর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ ব্যপারে জানানো
সাধারনত কোম্পানী থেকে দূর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ বীমার আবেদন করে থাকে। কিন্তু কোম্পানী থেকে আবেদন না করে দিলে নিজে বা সাহায্যকারীর মাধ্যমে কর্ম দূর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ বীমা অফিসে আবেদন করে বা সেলটারে গিয়ে সাহায্য নিতে পারেন। কর্ম দূর্ঘটনা ঘটলে প্রথম চিকিৎসার গরুত্ব আছে। অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে ডাক্তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। বিশেষ কারো আঙ্গুল কাটার মত দূর্ঘটনা ঘটলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কাটা আঙ্গুল প্রতিস্থাপন করার জন্য অপারেশন করতে হবে। কাজ করার সময় নিজের ভুলের কারণে দূর্ঘটনা হলেও কর্ম দূর্ঘটনার বীমা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। ক্ষতিপূরণ কালীন মাসিক বেতন বা ক্ষতিপূরণের তথ্য নিজের ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এই জন্য দূর্ঘটনা ঘটার পর চিকিৎসা কালীন সময় ব্যাংক আকাউন্ড খুলতে হবে এবং ভালভাবে রাকতে পবে।
চিকিৎসা করার সময়ে শ্রমিককে চাকুরী চুত্য করা যাবেনা বা জোর করে দেশে পাঠানো যাবেনা। বিদেশী শ্রমিকদের মতে কর্ম দূর্ঘটনা ঘটার পরে আইন কানুন না জানার ফলে জোর করে শ্রমিকদের কে দেশে পাঠানো হয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিদেশী শ্রমিক মারা গেলে তাদের পরিবার কোরিয়ার ক্ষতিপূরণ নিয়ম কানুন না জানা কারণে ঠিক মত ক্ষতিপূরণ পায় না। এই সমস্যায় পড়লে সরাসরি সাহায্য কল সেন্টারে যোগাযোগ করলে ভাল হয়।
(2) পুনর্বাসন সংক্রান্ত শিক্ষাশিল্পক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণে যেসব ব্যক্তি প্রতিবন্ধী যদি তাঁদের ইণ্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাকসিডেণ্ট ডিসএবিলিটি গ্রেড 1 থেকে 14 এর মধ্যে রোগনির্ণয় করা হয় এবং তাঁদের বয়স 50 বছর অথবা তার বেশি হয়, তাহলে তাঁরা কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন অ্যাণ্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিস্ এর পুনর্বাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পরিষেবা পাওয়ার অধিকারী। প্রশিক্ষণপ্রার্থীদের বিনামূল্যে আহার এবং বাসস্থান এবং কিছু পরিমাণ প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হয়। বেসরকারি প্রশিক্ষণ এজেন্সি যে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পরিষেবা দেয় কোরিয়া ওয়ার্কার্স কমপেনসেশন অ্যাণ্ড ওয়েলফেয়ার সার্ভিস্ তার জন্যও অর্থ দিতে পারে। যদি শিল্পক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণে আপনি প্রতিবন্ধী হন, তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত সযত্নে কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধাগুলি পরীক্ষা করে দেখা।
(3) কর্মস্থলের নিরাপত্তা
▶ প্রাথমিক নিরাপত্তা বিধি
কর্মস্থল এবং আশপাশের যাতায়াতের পথগুলি অবশ্যই ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হবে এবং যাতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যায় তার জন্য তৈরি করতে হবে। চলাচল সহজ করার জন্য যাতায়াতের সব পথ থেকে বাধা দূর করতে হবে এবং পিচ্ছিল স্থানগুলিকে চিহ্নের সাহায্যে শনাক্ত করতে হবে। কর্মস্থলে নিরাপত্তার নিম্নলিখিত প্রমিত মানগুলি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
নির্দিষ্ট অবস্থানে নির্দিষ্ট পাত্রের মধ্যে বিপজ্জনক সামগ্রী অবশ্যই শ্রেণীবিভাগ করে সংরক্ষণ করতে হবে। কাজের সময় কর্মীদের অবশ্যই সুরক্ষা বস্ত্র পরতে হবে এবং কর্মস্থলে ধূমপান অথবা আহার করা চলবে না। কর্মীরা নিরাপত্তা হেলমেট এবং বুট জুতা পরবেন এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন। ঘুরছে এমন যন্ত্র নাড়াচাড়া করার আগে সাধারণ সুতির দস্তানার বদলে নিরাপত্তা দস্তানা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। কাটা, পেষা অথবা ধূলা এবং অবশেষ উৎপন্ন হয় এমন কাজের সময় সুরক্ষা চশমা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। পরিষ্কার করার সামগ্রী অথবা জিনিসপত্র জোড়ার কাজে ব্যবহৃত সামগ্রীর মত রাসায়নিক পদার্থ নাড়াচাড়া করার সময় সুরক্ষা (গ্যাস) মুখোশ অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। সংকটকালে ব্যবহারের জন্য প্রস্থানের পথ অবশ্যই রাখতে হবে। কর্মীরা অবশ্যই প্রাথমিক শুশ্রূষা সরঞ্জাম এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে সচেতন হবেন। নিরাপত্তা এবং দিকনির্দেশক চিহ্নের মত সতর্কীকরণ বার্তা সম্পর্কে কর্মীরা অবশ্যই সম্পূর্ণ সচেতন থাকবেন। খাওয়ার আগে হাত অবশ্যই পরিষ্কার করে ধুতে হবে।
শ্রমিকদের জন্য সমাজিক বীমা পদ্ধতি আছে, স্বাস্থ্য বীমা, কর্ম দূর্ঘটনা বীমা, চাকুরী চুত্য বীমা ও সরকারী পেনশন এই চারটা সামাজিক বীমা পদ্ধতি আছে, এই পদ্ধতি বিদেশী শ্রমিকদের একই রকম ভাবে প্রযোজ্য।
(1) স্বাস্থ্য বীমাস্বাস্থ্য বীমা হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য আছে, স্বাস্থ্য বীমা চাঁদা চাকুরী নিযোগ কর্তা এবং শ্রমিক ৫০% করে দিতে হয়।
(2) কর্ম দূর্ঘটনা বীমা(3) চাকুরীর চুত্য বীমা
চাকুরী চুত্য বীমা কোন শ্রমিকদের চাকুরি হারালে নতুন চাকুরী পাওয়া পর্যন্ত চাকুরী চুত্য বেতন দেওয়া হয়। চাকুরী চুত্য বীমা চাকুরী নিযোগ কর্তা এবং শ্রমিক ৫০% করে দিতে হয়। E.P.S এর শ্রমিকদের চাকুরী চুত্য বীমা করার নিয়ম আছে। এই জন্য কোরিয়ান মত ১৮০ দিন কাজ করার পর চাকুরী হারিয়ে গেলে সরকারী চাকুরী প্রদান কেন্দ্রে জব সেন্টারে গিয়ে চাকুরী চুত্য বীমার আবেদন করা যাবে। কিন্তু বিদেশী শ্রমিকেরা কোরিয়াদের চেয়ে কম টাকা পাবে, এই অভিযোগের কারণে নিজের ইচ্ছা মত এই বীমা করার নিয়ম হয়েছে।
(4) সরকারী পেনশনসরকারী পেনশন ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। ৬০ বছর বয়স থেকে প্রত্যেক মাসে এই পেনশনের টাকা পাওয়ার পদ্ধতি আছে। এই পেনশনের চাঁদা প্রত্যেক মাসে বেতন থেকে কেটে নিবে। বিদেশী শ্রমিকেরা সবাই করার নিয়ম নাই। E.P.S এর মধ্যে দেশ গুলি মধ্যে কোরিয়া এবং যে দেশ এর চুক্তি আছে, যেমন সরকারী পেনশন আওতায় ৯ টি দেশ আছে (মঙ্গোলিয়া, শ্রিলাংকা, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্থান, চীন, খাজাকস্থান, থাইলেন্ড, ফিলিপাইন, কিরকিস্থান) এই দেশের মধ্যে পেনশন এর টাকা পাওয়া যাবে। শ্রিলাংকা, ইন্দোনেশিয়া, খাজাকস্থান, থাইলেন্ড এর ৪টি দেশ এর শ্রমিকেরা পেনশনের টাকা পাওয়া যাবে। শ্রমিকেরা ৩ বৎসর কাজ করার পরে দেশে ফিরে যেতে হবে, কিন্তু ৬০ বৎসর বয়স থেকে কোরিয়ান আইন মতে পেনশন পাওয়া যাবে, তবে এই নিয়মে কিছু অভিযোগ আছে, সেই জন্য কয়েক দিনের মধ্যে বন্ধ হওয়ার সমভ্ববনা আছে কিন্তু বন্ধ করার আগে পর্যন্ত পেনশনের চাঁদা দিতে হবে।
বিদেশীরা সামাজিক বীমা করতে পারে। সামাজিক বীমা (সরকারী পেনশন, স্বাস্থ্য বীমা, চাকরীর চুত্য বীমা ) সুযোগ-সুবিধা বুঝতে গেলে সামাজিক বীমা করলে ভাল। বীমা করতে গেলে আপনার কারখানাতে জানালে করা যাবে।
(2) কর্ম আইন তথ্যশ্রম আইন ঠিক করা হয়েছিল যে, শ্রমিকদের ভাল ভাবে জীবন যাপন করার জন্য বা দেশ উন্নত করার জন্য সরকার আইন বানানো হয়েছে, এই গুলি নিয়োগ কর্তা এবং শ্রমিকদের সাথে চুত্তিনামা করতে হবে। চুত্তি করার সাথে বেতন, কাজের ধরণ ব্যপারে আলোচনা হবে, এই বিষয়ে সাবধানতা হয়ে লিখিত ভাবে চুত্তি হবে সেটা গুরুতপূণ।
(3) শ্রম আইন দারা রক্ষিত
সবসময় ৫ জনের বেশি কাজ করার কারখানাতে এই শ্রম আইন দ্বারা রক্ষিত।
সবসময় ৪ জনের কম কাজ করার কারখানাতে এই শ্রম আইন দ্বারা রক্ষিত কিছু কিছু প্রযোজনীয় হবে।
বেতন নগদ হিসেবে পাবেন, সবপূর্ন বেতন মাসে একবার নিয়মিত ভাবে একটি নির্দিষ্ট তারিখে পাবেন।
ওভার টাইম, রাতের কাজ, লালদাগের কাজ এই ক্ষেত্রে মূল বেতনের ১৫০% গুন বেশী পাওয়া যাবে।
শ্রমিক এক বৎসরের বেশী কাজ করলে তেজিকম পাবে।
বেতন বা তেজিকম পাইতে না পারে অথবা নিয়োগ কর্তার বা অন্য লোকদের দ্বারা মারধর করা, জোর করে দীর্ঘক্ষন কাজ করানো ইত্যাদি শ্রমআইন অমান্য বলে পরিগণিত হবে।এই সকল বেআইনী কর্মকান্ড করলে সে এলাকার শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে অফিস কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
(শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে অফিস ☎1350, ☎1544-1350)
নতুন শ্রম আইন যে শিল্পকারখানায় চলছে সেই শিল্প কারখানায় এক সপ্তাহে কাজ করার সময়টা ছুটির সময় ছাড়া ৪০ ঘন্টার বেশী হতে পারে না। এক দিন কাজ করার সময়টা ছুটির সময় ছাড়া ৮ ঘন্টার বেশী কাজ করা যাবে না। (কিন্তু নিয়োগ কর্তা ও শ্রমিক রাজী হলে এক সপ্তাহে ১২ ঘন্টা কাজ করা যাবে।) নতুন শ্রমি আইনের বাইরে যে শিলপকলখানা এক সপ্তাহে কাজ করার সময়টা ছুটির সময় ছাড়া ৪৪ ঘন্টার বিশী হতে পারেনা এবং একদিন কাজ করার সময়টি ছুটি ছাড়া ৮ ঘন্টার বেশী হতে পারে না। ২০১১ সাল থেকে শ্রমিকদের সংখ্যা ২০ জনের কম ছোট শিল্পকলকানাতে ১ সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার মধ্যে পরিবর্তন হবে।
(5) বেতনশ্রমিকেরা নিজের পরিবার চালানোর জন্য আইনের মাধ্যমে নিম্নে বর্ণিত মজুরী ঠিক করা হয়েছে। এটা সর্বনিম্ন মজুরী আইন বলা হয়। সমস্ত শিল্পকারখানায় এই নিয়মটা পালন করতে বাধ্য থাকিবে। ※ ২০১২ সালে সর্বনিম্ন মজুরী ১ ঘন্টায় ৪,৫৮০ উওন ১ দিনে ৩৬,৬৪০ উওন ১ মাসে ৯৫৭,২২০ উওন ধার্য্য করা হয়েছে।
(6) তেজিকুমতেজিকম পেতে হলে শ্রম আইনের মধ্যে শ্রমিক হতে হবে। ১ সপ্তাহে কাজ করার সময়টা ১৫ ঘন্টার কম হলে তেজিকম পাওয়া যাবে না। ৫ জনের বেশী শ্রমিক শিল্প কারখানাতে কাজ করে ঐ শ্রমিকগণ তেজিকম পাবে। শিল্প কারখানাতে এক বৎসরের বেশী কাজ করতে হবে।
বিদেশীদের ই,পি,এস সিষ্টেমটা কোরিয়ান শ্রমিক শল্পতার কারনে MOU কন্ট্রাক এর মাধ্যমে ১৫টা দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। দেশ সমূহ হলো ফিলিপিন, থাইলেন্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া, উজবেকিস্থান, পাকিস্থান, কম্বোডিয়া, চীন, বাংলাদেশ, কিরগিজস্থান, নেপাল, মিয়ানমার, পূর্ব থিমোর। এই সকল দেশের শ্রমিকদেরকে বৈধ ভাবে কাজ করার জন্য কোরিয়ান সরকার ই,পি,এস সিষ্টেমে আইন অনুমোদন করেছে।
(1) বিদেশী শ্রমিকদের নিয়োগ সিষ্টেমচাকুরী করার জন্য তিন বৎসরের চুক্তি করা যাবে এবং প্রতি বছর নবায়ন করতে হবে। নিয়োগ কর্তা বিদেশী শ্রমিকদের সংঙ্গে চুক্তি করার সময় অবশ্যই সরকারী আদর্শ শ্রম চুক্তিনামা ব্যবহার করা আবশ্যক। নিয়োগকর্তা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বীমা, বেতন পাওয়ার বীমা, এছাড়াও অন্যান্য বীমা করতে হবে। বিদেশী শ্রমিকরা কর্মস্থান ত্যাগ করা যাবে না, কিন্তু ফ্যক্টরী বন্দ বা ধংসের কারণ থাকলে পরিবর্তন করা যাবে, কিন্তু তিন বারের বেশী নয়।
(2) কোরিয়ান আইনের মাধ্যমে মানবাধিকারকোরিয়ানদের মত বিদেশী শ্রমিকও সকল সুযোগ-সুবিধা সমান ভাবে পাবে। শিল্প দূর্গটনা বীমা, সর্বনিম্ন মজুরী, কোরিয়া শ্রমের ত টি আইন দ্বারা রক্ষিত।
(3) সাবধানতানিয়োগ কর্তার নিকট পাসপোর্ট রাখা যাবে না। পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র, বিমান টিকিট এবং অন্যান্যা জরুরী কাগজপত্র মালিকের নিকট রাখা যাবে না।পাসপোর্ট সহ সকল কাগজপত্র নিজের কাছে রাখতে হবে।নিয়োগ কর্তার নিকট ফটোকপি দিতে অসুবিধা নেই। চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে দালাল হতে সাবধান।
চাকুরী ক্ষেত্র পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর দালাল টাকা দাবী করে। চাকুরী ক্ষেত্র পরিচয় করিয়ে দেবার পর টাকা দাবী করলে বা প্রত্যেক মাসে টাকা দাবী করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে পরিগণিত হবে। দালালদের সাথে লেনদেন করা অবৈধ। এই ক্ষেত্রে দালালের কমপক্ষে ৫ বৎসরের সাজা বা ৩০,০০০,০০০ উওন জরিমানা দিতে হবে।
বিদেশী শ্রমিকদের জন্য দোভাষী ক্যল স্টোর আনসান বিদেশী শ্রমিক সহযোগিতা কেন্দ্র ☎031-475-0111 উ-জংবুউ বিদেশী শ্রমিক সহযোগিতা কেন্দ্র ☎031-878-9111